আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেশ হাসিনা বলেছেন, অবৈধ ইউনুস সরকার গোটা দেশকে মৃত্যুপূরীতে পরিনত করেছে। নদীতে এখন আর মাছ পাওয়া যায় না, মানুষের লাশ পাওয়া যায়। খুন, গুম, ধর্ষন, অপহরণ সহজ ব্যাপার হয়ে গেছে। শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ করার অপরাধে নির্বিধাওে হত্যা করা হচ্ছে, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এসব আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আর অপেক্ষা নয়, এখনই ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটি অবিচার, খুন ও অন্যায়ের বিচার করা হবে।
গত ৪ আগস্ট বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেইজে- দায়মুক্তি শিরোনামের ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘে ইউনুস মিথ্যাচার করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন মুছে ফেলা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। অথচ জাতিসংঘ ভাষণে নিজেকে ভালো সাজাচ্ছেন। জাতিসংঘে মিথ্যাচার কওে আমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। সঠিক তথ্য পত্রপত্রিকায় ছাপাতে পারে না। শিশু ও নারী ধর্ষন সহজ ব্যাপার হয়ে গেছে। আমাকে ৪৫০ টি মামলার আসামী করা হয়েছে। একজন মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাকে মুমুর্ষ অবস্থায় হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে রাখা হয়, বিনা চিকিৎসায় মারা হলো।
গোপালগঞ্জ গণহত্যার কথা স্মরণ কওে তিনি বলেন, দেশে আজকে হত্যাকারীরা পায় দায়মুক্তি আর হত্যার শিকার পরিবার হয় আসামী। গোপালগঞ্জে যারা হত্যা করলো, গুলি করলো, তাদের আসামী করা হয়নি। আসামী করা হয়েছে আহতদেও ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের।
শেখ হাসিনা বলেন, রংপুরে আবু সাঈদকে মোটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তো রাবার বুলেট ছুড়েছে। স্নাইফার গুলি করলো কে। পুলিশের রাবার বুলেটে তো মারা যায়নি। রাবার বুলেট বিদ্ধ হবার পর কয়েক ঘন্টা কোথায় ছিলো আবু সাঈদ। মাথায় স্নাইফারের গুলি করলো কে। কেউ এসব তদন্ত করেছে? কেন করা হয়নি। এসব প্রশ্নের উত্তর একদিন মিলবে। সব অন্যায়ের বিচার করা হবে ।