ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২৩ পূর্বাহ্ন

আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত : শেখ হাসিনা

একটি সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা বাংলাদেশের মানুষকে নিষ্পেসিত করা হচ্ছে। মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গতিপথ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন- রাষ্ট্রের আইন , বিচার ও নিবার্হী বিভাগ সব নস্ট কওে দিয়েছে। আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।
আজ ১০ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫৪ তম বছর । এ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেইজে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

single-ad-main-1

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, যিনি বাঙালি জাতিতে বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেলেন, একটি রাষ্ট্র দিয়ে গেলেন। তাকে চরম অপমান-অবমাননা করা। ঐ ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভেঙে ফেলে, মুক্তিযদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ নস্ট করা। মুক্তিযোদ্বাদের কারাগাওে রাখা হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশে আজ ক্ষুধার্ত মানুষর হাহাকার। নারী ও শিশুদেও ধর্ষিতা, তাদের কোনো অধিকার নেই। সারাদেশে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সেখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকা। এমন একটা অরাজক অবস্থা মানুষ ঘরে-বাইরে কোথাও থাকতে পারছে না। ৭১ সালের হানাদার বাহিনীর যে-বর্বরতা, গনহত্যা, নারী ধর্ষন, জ¦ালাও পোড়াও, তার থেকেও যেন আরও খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের। এখন থেকে বাংলাদেশবে বের করে আনতে হবে। আবারো মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। সংগ্রাম করায়ব ার বার কারাবরণ, অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি ফাঁসিতে ঝুলিয়েও হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি আজীবন শান্তির পথ দেখিয়েছেন। তার একটাই স্বপ্ন ছিলো-বাংলার মানুষ স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে, উন্নত জীবন পাবে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকে, উন্নয়ন পায়, তখনই ষড়যন্ত্র হয়। সাম্প্রদায়িকতা শুরু হয়।

১৯৭২ সালের এই দিনে বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’
একাত্তর সালে এই অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুবছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি, সেটিই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

single-ad-main-2

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ