জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী রাজনৈতিক দলগুলোর বেশির ভাগ নামসর্বস্ব। এরা আগামী দিনের রাজনীতিতে দালাল ও সুবিধাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই রাজনৈতিক দালালদের ভবিষ্যতে ইতিহাসই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। তাদের পরিচয়, দালালির ইতিহাস ও ছবি একদিন জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনীতে সংরক্ষিত থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে জুলাই সনদ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।

এক পোস্টে তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবে। অন্যদিকে, জামায়াত শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি; তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাঙালির বিরুদ্ধে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিল। জামায়াত কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠন। কাজেই জামায়াতের হিসাব আলাদা।
মোহাম্মদ এ আরাফাত আরও বলেন, বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া বাকি যারা সাক্ষর করেছে, তাদের বেশিরভাগ দলই নামসর্বস্ব—এই দলগুলোর নাম বা নেতাদের নাম মানুষ জানেই না। এরা সবাই মিলে ১% জনগণেরও প্রতিনিধিত্ব করে না। এই দলগুলো জাতির সামনে আগামী দিনের রাজনীতিতে দালাল ও সুবিধাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই রাজনৈতিক দালালদের ভবিষ্যতে ইতিহাসই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। তাদের পরিচয়, দালালির ইতিহাস ও ছবি একদিন জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনীতে সংরক্ষিত থাকবে—একটি বিকৃত রাজনৈতিক অধ্যায়ের স্মারক হিসেবে।









