
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। বাঙ্গালি জাতিকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের হাত থেকে জাতিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা কি আমাদের অপরাধ ছিলো।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দায়মুক্তি ৫১তম পর্বে ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শসিত বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়ে ছিলেন, তাদেরকে মর্যাদা দিতে চেয়ে ছিলেন, আত্মমর্যাদা জাতি হিসাবে এই জাতিকে গড়া তুলে ছিলেন। একটা রাষ্ট্র দিলে ছিলেন, জাতি রাষ্ট্র মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার এনে দিয়ে ছিলেন। এটা কি আমাদের অপরাধ ছিলো।
শেখ হাসিনা কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করা হল। আমি হারালাম আমার বাব, মা ও ছোট্র ভাইদের। আমি তখন বিদেশে ছিলাম বলে বেচেঁ যাই। এক দিন শুনলাম আমার আর কেই বেচেঁ নেই। দেশ নাই ঘর নেই, বাড়ি নাই ৬টা বছর এভাবে কাটালাম। দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি বানায়। বাবার স্বপ্ন ছিলো দুখি মানুষের মুখে হাসি ফুটানো আমি সেই লক্ষ্যকে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমার উন্নতি করেছি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি। মানুষের জীবনে শান্তি দিয়েছি, ক্ষুধার্থ মানুষের মুখে অন্য তুলে দিয়েছি।
যাদের ঘর নাই বাড়ি নাই তাদের ঘড়বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগড়ায় পৌছিয়ে দিয়েছি। প্রত্যক ছেলে -মেয়েকে উন্নত পড়াশনার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোন কাজটা আমরা করি নাই।
হাসিনা বলেন, আমরা অপরাধটা কি করলাম যে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট আমাদের দুই বোনকে হত্যা করবে। কয়েক মিনিটের জন্য আমরা বেচেঁ যাই। আমার ভাগ্য আমাকে এখানে টেনে এনেছে। আমি দেশের মানুষের ক্ষতি করে দেশের সম্পদ বেচেঁ দিয়ে বা দেশটাকে কারুর কাছে ভাড়া দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই নাই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জি ত এ স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা আমি নষ্ট করতে চাই নাই।
আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর ওদের এত ক্ষোপ কেন। এরা কারা বিএনপি জামায়াত যারা করে এদের অধিংশ তো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা তো স্বাধীনতা বিরুদ্ধে ছিলো। জামায়তে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো।
দেশপক্ষ/ এমএইচ