
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ হত্যা করে তাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। এগুলো তো আওয়ামী লীগের কথা না। এগুলো ইউনূসের সমন্বয়কারীরা বলেছে, ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেছে। তারা গর্ব করে বলেছে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আগুন না দিলে বিপ্লব সফল হত না। পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হত না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিনে ভার্চুয়াল বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে প্রত্যেক মানুষ নিরাপদে ছিলো শান্তিতে ছিলো। প্রত্যেক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তারা সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা, জনগণের সম্পদ রক্ষা এটাতো তাদের দায়িত্ব। কিন্তু যারা এই দেশটাকে ধ্বংস করবে তাদের কি উৎসাহ দিবে। উৎসাহ দেওয়ার কারণে আজ এই অবস্থা ।
তিনি বলেন, আজ পুলিশদের বিরুদ্ধে মামলা। এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কঙ্গো থেকে পুরো পুলিশ কন্টিনজেন্ট ফেরত দিয়েছে দ্বিতীয় রিপ্লেসমেন্ট নিচ্ছে না। আজ সেনা অফিসারদের যে হুকুম দেওয়া হয়েছে তারা সেটা পালন করেছে। তাদের অবরাধটা কি আজ তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা দিয়ে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। আইসিটি কোনটা যেখানে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারীদের কেমন করে বিচার হয়। সেনা আইন তো আছে সেই আইনে তাদের বিচার হবে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, তারা বলে আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলবো। সংবিধান অনুযায়ী কি ইউনূস ক্ষমতায় এসেছে না ডাকাতি করে, সে তো নিজেই বলেছে, মেট্রোলেজ ডিজাইন করে চক্রান্ত করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে। এরা হল ক্ষমতা দখলকারী তাও আবার অবৈধ ভাবে অসংবিধানিক ভাবে। যদি ক্ষমতার এত লোভ থাকতো তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারতো। তা না করে জোর ক্ষমতায় বসে জনগণের প্রতিনিধিদের টকায়।
তিনি আরও বলেন, আজ কোন দেশে আমরা বাস করি এখানে দেশের মানুষ শান্তিতে নাই। আজ তাদের পেটে খাবার নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। ছেলে-মেয়েদের পড়াশনার কোন পরিবেশ নাই। দেশের সব জঙ্গীদের নিয়ে ইউনূসের চলা ফেরা। এই দেশটাকে জঙ্গীদের দেশ হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে যতটুকু সম্মানের জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছিলো সেই জায়গা টুকু শেষ করে দিয়েছে।
হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের সবার কাছে দোয়া যাই, আমার ছোট ভাইয়ের জন্য দোয়া চাই আল্লাহ তায়ালা তাকে যেন বেহেস্ত নছিব করেন।
দেশপক্ষ/ এমএইচ









