
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে জেলা এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন তাঁরই নিজ গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, গত ১৪ অক্টোবর বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মৌজার ৯৫০ ও ৯৬৩ দাগের খাস পুকুরের ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে আসাদ খোকনের ভাড়াটিয়া বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় আহত মনির মিয়া (পিতা মৃত রোকন মিয়া, সাং লক্ষীপুর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, উক্ত খাস পুকুরটি আগে লক্ষীপুর গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসার নামে ইজারা ছিল। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগ ও বর্তমানে এনসিপি নেতা আসাদ খোকন পুকুরটি ইজারা নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। এ বছর ইজারার মেয়াদ শেষ হলে গ্রামবাসী পুকুরটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের নামে নেওয়ার উদ্যোগ নিলে আসাদ খোকন তাঁদের বাঁধা ও হুমকি দেন।
মনির মিয়ার অভিযোগ, ইজারার দিন সকালে তিনি পুকুরের নিলামে অংশ নিতে গেলে উপজেলা ভুমি অফিসের আসাদ খোকনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁকে ও অন্যদের মারধর করে। এ সময় দুই লাখ টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও আরও কিছু নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীরা অভিযোগকারীর বক্তব্য সমর্থন করে আসাদ খোকন ও তাঁর সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় তাঁরা আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন এবং মিছিল করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপি নেতা আসাদ খোকন বলেন, ‘আমার সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। সেদিন যারা হামলা করেছিল, তারা আমার লোক নয়। তাদের অধিকাংশই গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা।’
দেশপক্ষ/ এমএইচ









