
পুলিশের দায়িত্বে আছেন এমন একজন আইজিপি যিনি বহু আগে অবসর নিয়েছেন। ঢাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্বেও আছেন একজন রিটায়ার্ড কমিশনার।
যারা মাঠের বাস্তবতা বদলানোর কোনো দায়বদ্ধতা রাখেন না, তাদের হাতে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে—যেন ইচ্ছাকৃতভাবে পুরো ব্যবস্থাটিকেই পঙ্গু করে রাখা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশের এসআই থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যায় পর্যন্ত কেউ আজ আর অপরাধীদের দমনে আগ্রহী নয়।
কারণ স্পষ্ট—পুলিশ হত্যার কোনো বিচার হচ্ছে না। যখন নিজের সহকর্মীর রক্তের ন্যায্য বিচার হয় না, তখন কেউই আর ঝুঁকি নিয়ে অপরাধীদের মোকাবিলা করতে চায় না।
ফলে মাঠ পর্যায়ে আইন প্রয়োগ কার্যত অচল হয়ে গেছে।
আরও ভয়াবহ হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার অবস্থা।
তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ এনে হেনস্তা করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে—যার ফলে গোটা চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়ার পথে। যারা রাষ্ট্রের চোখ-কান, তাদেরকেই এখন সন্দেহভাজন বানিয়ে ভয়, বিভ্রান্তি ও অচলাবস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এই সব কিছুই একত্রে ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং একটি সচেতন কৌশল। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস করে, নেতৃত্বহীন প্রশাসন বসিয়ে, পুলিশের মনোবল ভেঙে ও গোয়েন্দা সংস্থাকে অচল করে দিয়ে সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
দেশপ্কষ/ এমএইচ









