ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তৎপর যুবলীগ, নেতৃত্বে আসছে ত্যাগীরা

 

single-ad-main-1

আওয়ামী লীগ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তৎপর হয়ে উঠেছে দলটির যুব সংগঠন যুবলীগ। ক্ষমতার পালা পরিবর্তনের পর সাম্প্রতিক সময়ে সক্রিয় হয়ে পড়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্ব সংগঠনটি সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধেও পক্ষের শক্তিকে সংগঠিত করছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্তবর্তী সরকারের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার, মব সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রেখেছে । গত দুই সপ্তাহে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা রাজধানীতে দুই শতাধিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসব মিছিল হতে যুবলীগের অন্তত ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আটক হলেও অব্যাহত রয়েছে মিছিল। যা নিয়ে অন্তবর্তী সরকার ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

অন্তবর্তী সরকার ও বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম, দেশের অর্থনীতির নাজুক অবস্থা তুলে ধরাসহ বাংলাদেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, জনসাধারণের মাঝে এ সচেতনা বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় সংগঠনটির তৃনমূল নেতাকর্মীরা।

single-ad-main-2

ভয়ার্ত পরিবেশেও নেতাকর্মীদের এমন উদ্দীপনা ও আদর্শেও প্রশ্নে আপোষহীন লড়াইকে কাজে লাগাতে তৎপর সংগঠনটির হাইকমান্ড। সংগঠনটিকে আরো সক্রিয় এবং রাজপথে আন্দোলন বেগমান করতে মাঠের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণের উদ্যোগ নিয়েছে যুবলীগ। মাঠের নিক্রিয় নেতাদেও বাদ দিয়ে ত্যাগী ও সক্রিয়দেও মূল্যায়ন করার কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত সংগঠনের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও নির্দেশনা দিচ্ছে চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদক।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা মাঠে সক্রিয় ছিলেন, তাদের মূল্যায়ন করা, সাবেক ছাত্রনেতাদের পদায়ন করা এবং দেশব্যাপী জেলা, উপজেলা, থানা এমনকি ওয়ার্ড পর্যন্ত নতুন কমিটি প্রদান ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ কওে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের যুবলীগে অন্তভূক্তির করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে গত ২৮ অক্টোবর ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না, এমন শর্তে পূর্বে বহিস্কার ও অব্যাহতি পাওয়া নেতাকর্মীদের সাধারণ ক্ষমা করে সংগঠনে সক্রিয় হবার নির্দেশনা দিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এরপরই যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীদের রাজধানীতে ইউনুস বিরোধী মিছিল করতে দেখা গেছে।

এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারমুক্ত করে পূর্নাঙ্গ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাকির হোসেন বাবুলকে। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মাইনুল হোসেন নিখিলের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বাবুল।
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন অন্যতম সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকটি সম্পাদকীয় পদেও সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্তদের ফেরানো হয়েছে।

যুবলীগ সূত্র আরও জানায়, শুধু কেন্দ্র- মহানগর নয়, দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও নিক্রিয়দের বাদ দিয়ে সক্রিয় ও সাহসি নেতাদের মূল্যায়ণ শুরু হয়েছে। যে সব ইউনিটে কমিটি নেই, সেখানে সক্রিয় নেতাদের সমন্বয় করে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ওপর খড়গ নেমে আসে। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী মব সন্ত্রাস ও আওয়ামী লীগকে দমন করতে নির্যাতন ও গণগ্রেফতারের পথ বেছে নেয় সরকার। সবশেষ চলতি বছরের ১০ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টামণ্ডলীর এক বৈঠকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সব সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।

এমন বৈরি রাজনৈতিক পরিবেশে দলের খাঁটি নেতা ও কর্মীদের মূল্যায়নই দলকে চাঙ্গা করার একমাত্র পথ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন দলের শীর্ষ ও তৃণমূলের নেতারা। তাই নিক্রিয়দের সরিয়ে সক্রিয়দের নেতৃত্বে এনে সংগঠনকে দ্রুত পুনর্গঠিত করাই এখন যুবলীগের প্রধান লক্ষ্য।

জানতে চাইলে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুবলীগের কর্মীরা রাজপথে লড়ে যাবে। অবৈধ ইউনুস সরকারকে বিড়ারিত করে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় জাতির পিতার আদর্শিক পথে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ।

 

 

 

 

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন